Wow! It’s a nice question =D ব্যাপরটা অনেকটা ডিম আগে না মুরগি আগে? তবে ডিম আর মুরগির ভিতর দ্বিধাদ্বন্দ থাকলেও এক্ষেত্রে ব্যাপারটা ফকফকা পরিস্কার।
হ্যাঁ, ব্লকচেইন একটি ডিসেন্ট্রালাইজড টেকনোলজি। আর বিটকয়েন তার প্রথম প্রয়োগ। যা করে Satoshi Nakamoto (ছদ্দনাম) নামে এক আজানা জাপানি (দাবি করা হয়) মানুষ। Nakamoto অক্টোবর, ২০০৮ এ metzdowd.com এর মেইলিং লিস্টে “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System” নামে একটা পেপার পাবলিশ করে বসে। পেপারটি নেটে একটু ঘাটাঘাটি করলেই পাবেন। যদিও ব্লকচেইন এর চেয়ে মানুষ বিটকয়েনকেই বেশি চেনে।
আজকের আলোচনাটা ব্লকচেইন নিয়ে। ব্লকচেইন এমন একটি প্রযুক্তি যাকে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়াই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। ব্লকচেইন যেহেতু একটি ডিসেন্ট্রালাইজড টেকনোলজি তাই এটি হ্যাক কিংবা কারও দ্বারা কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
ব্লকচেইন কি?
সহজ কথায় ব্লকচেইন মূলত ব্লকের সমষ্টি। যেখানে ডিজিটাল তথ্য ব্লকে ব্লকে সাজানো থাকে। ব্লকচেইন নিয়ে প্রথম অ্যাপলিকেশন বিটকয়েন হলেও এটা প্রথম দেখিয়েছিল Ralph Merkle 1979 সালে। এটা ছিল হ্যাশ ট্রি এর প্রিমিটিভ ফরম। এখানে মূলত ডাটা লেনদেন এর সকল প্রকার ডাটা রাখা হয়। এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এ ডাটাগুলোকে ভেরিফাই করতে হয়। যখনই এটা ভেরিফাইড করা হয় তখন এটি নেটওয়ার্ক নতুন নোড হিসাবে যোগ করা হয়।
“blockchain is more than just ICT innovation, but facilitates new types of economic organization and governance. Suggests two approaches to economics of blockchain: innovation-centred and governance-centred. Argues that the governance approach — based in new institutional economics and public choice economics — is most promising, because it models blockchain as a new technology for creating spontaneous organizations, ie new types of economies.” Primavera De Filippi, Economics of blockchain with Sinclair Davidson, Jason Potts
ডাটাগুলো কিভাবে থাকে এবং কিভাবে কাজ করে?
ব্লকচেইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে হ্যাশিং। ডাটাগুলো মূলত SHA256 Hash মোডে সংরক্ষণ করা থাকে।
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.আর ব্লক কয়েকটি ভাগে ভাগ করা থাকে Block Number, Nonce, Data and Hash। আর ব্লকচেইন অনেকগুলো ভেরিফাইড ব্লকের সমষ্টি। যারা ব্লকগুলো ভেরিফাই করে তাদের Miner বলা হয়। এই উদাহরণ গুলো হাতে কলমে দেখতে anders.com/blockchain/ সাইটটা বেশ ভাল।
আরও ভাল উদাহরণ Wikipedia এর ডাটাবেজ এর নিয়ন্ত্রণ থাকে Wikipedia administrator দের কাছে। এটাকে মূলত ৩ ভাগে ভাগ করতে পারেন Client, Server, Database (Master Copy)। কিন্তু ব্লকচেইনে এটার নিয়ন্ত্রণ সবার হাতে থাকে কিন্তু প্রত্যেকটা ডাটা আদান এর পর মাইনারা (ক্রিপ্টকারেন্সি দুনিয়ার বলা হয়) এসব ভেরিফাইড করে ব্লকে যুক্ত করে। এ প্রকিয়াকে “proof of work” বলা হয়। বিটকয়েনের জন্য এসব মাইনারা কিছু অর্থও পেয়ে থাকে ভেরিফাই করার বিনিময়ে। ব্লকে যুক্ত ডাটা নেটওয়ার্কে ব্রডকাস্ট করা হয়। ডাটাবেস মডেলটি অনেকটা এমন:
Proof of work ই মূলত ডাটাকে নিরাপদ রাখে। যদি একজন হ্যাকার এটা হ্যাক করতে চায় তাকে complex computational math problem গুলো ১-৭ ট্রিলিয়ন বার সলভ করতে হবে যা কার্যত অসম্ভব।
ব্লকচেইন মূলত ৩ টি টেকনোলজি থেকে তৈরি।
ডিজিটাল সিগনেচার আর ব্লকচেইন এর সম্পর্ক
ব্লকচেইন এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট “digital signature”। ডিজিটাল সিগনেচার কিভাবে কাজ করে তা জানতে নিচের ছবিটি দেখতে পারি:
ব্লকচেইনের কেন ব্যবহার করব?
ব্লকচেইনের ব্যবহার
ব্লকচেইনের প্রথমের প্রয়োগটি অর্থ লেনদেনের জন্য হলেও এটার রয়েছে বহু মূখী ব্যবহার। ব্যাংক, সাপ্লাইন চেইন, মার্কেটিং, HR, অ্যাকাউন্টিং, IOT, স্বাস্থ্যখাত, জমি জমার রেকর্ড, স্মার্ট কন্ট্রাক, এমনকি ভোটিং ব্যবস্থাতে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে ব্লকচেইনের ব্যবহার
উন্নত দেশগুলো এবং বড় বড় কোম্পানি আইবিএম(IBM), গুগল (Google), মাইক্রোসফট এর মত না হলেও সীমিত আকারে বাংলাদেশে ব্লকচেইনের ব্যবহার শুরু হয়েছে।
“সম্প্রতি NDA টীম কর্তৃক BCC তে একটি প্রাইভেট ব্লকচেইন অবকাঠামো স্থাপন করা হয়েছে এবং পাইলট ভিত্তিতে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিসিসির অনলাইন নিয়োগ সিস্টেম (e-recruitment system) এর ডেটা/তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ব্লকচেইন অবকাঠামোটি ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়োগ পরীক্ষার অংশ হিসেবে এ সিস্টেম থেকে ইলেকট্রনিক উপায়ে admit card আবেদনকারীর কাছে পাঠানো হয়। নিয়োগ পরীক্ষার সময় আবেদনকারী admit card টির একটি প্রিন্ট কপি নিয়ে আসে যা ম্যানুয়াল উপায়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। এটি খুব ঝামেলাপূর্ণ এবং সবসময় সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করাও সম্ভব হয়না। অনেক সময় দেখা গেছে, admit card এ নাম/ছবি পরিবর্তন করে একজনের পরীক্ষা আরেকজন দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ধরণের প্রতারণামূলক চর্চা বা জালিয়াতি প্রতিরোধ করার জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে আবেদনকারীকে পাঠানোর আগে admit card টি ব্লকচেইনে সংরক্ষণ করা হয় এবং ব্লকচেইন থেকে প্রাপ্ত হ্যাশ QR code এর মাধ্যমে admit card এ যুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর নিয়োগ পরীক্ষার সময় বিশেষায়িত মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে admit card এর প্রিন্ট কপিটি স্ক্যান করলে সহজেই বোঝা যায় কোন তথ্য পরিবর্তন কর হয়েছে কিনা।”[অংশটুকুর Source: Md Shariful Islam ]