গল্পের শুরুটা ২০১৯ সালে আমার নেপাল ভ্রমণে। সেবার আসার দিন দুর্ঘটনাক্রমে নেপালের Miniso থেকে কেনা Neck Pillow টা মটর সাইকেলের সাইলেন্সারে লেগে পুড়ে যায় একটু। ভুলে বালিশটা একটা কাপড়ের ব্যাগে রাখছিলাম। আর বিপত্তে সেখানেই। ব্যাগেরও কিছু অংশ পুড়ে যায়।
আচ্ছা সেই পোড়া বালিশ নিয়ে মনে হয় বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরেছি। যথারীতি এবার USA তে আসার সময়ও সেই বালিশ আমার সাথী হয়। সব কিছু ঠিক ঠাক ছিলো USA এর মাটি নামার পরও।
বিপত্তি সাজে Dallas থেকে যখন McAllen এ ফ্লাইটে যখন উঠব। Domestic Airport এর Security চেক পার হওয়ার সময় মনে ভুলে বালিশটা ছেড়েই চলে যাই আরেক টার্মিনালে। বলা ভালো DFW তে চক্রাকারে Monorail আছে এক টার্মিনাল থেকে আরেক টার্মিনালে যেতে। আমি বেশ ক্লান্ত শরীরেই Terminal A তে চলে যাই। কিন্তু বিধি বাম পরে মনে হয় ৩-৪ মিনিট পরই ব্যাক করি Terminal D তে।
কিন্তু লাভ নেই। বালিশ ততক্ষণে হাওয়া!! বেশ খোঁজা খুঁজি করলাম। Security Checking এ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকটি জিঙ্গাসা করলাম তোমাদের এখানে Security Camera নেই? ওখানে চেক করেলেই তো দেখতে পারো কেউ নিয়েছে কিনা। মনে হয় মজা করেই বললেন তুমি Poilce এ রিপোর্ট করো তাহলে আমরা দেখব।
শেষ মেষ আমার বলিশটা ছাড়াই আমি আবার USA এর আকাশে উড়লাম আমার শেষ গন্তব্য McAllen এর উদ্দেশ্যে।
দিনশেষে একটা কথাই মনে হলো শালা মাগার Bangladesh আর USA এর কোন তফাৎ ই নাই। সুযোগ পাইলে সবাই ই ঝেপে দেয়। সবাই খালি সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
তবে জানি নাহ বিশেষত Japan এ কি। Japan নিয়ে তো অনেক গল্পই শুনি। হয়ত একদিন ঘুরতে ঘুরতে Japan এ যেয়েও ইচ্ছা করে কোন কিছু ফেলে রেখে পরীক্ষা করব নি।
আজ পর্ব — ১ দিয়েই পরবাস জীবনের গল্প লেখা শুরু করলাম। হয়ত এভাবে একদিন কয়েক শত পর্ব ছাড়িয়ে যাবে।